মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেছেন, কাজ করবো আমরা আর নেতা হবেন আপনারা এটা চলবে না। শামীম ওসমান বলেছেন আমরা সবাই কর্মী। আপনারা নেতা হন তবে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। ওরা নেত্রীকে গালাগালি করে আওয়ামী লীগকে গালাগালি করে। তবে দলের একটি অংশ এর কোন প্রতিবাদ করে না। প্রতিবাদ করে শামীম ওসমানের কর্মীরা। নারায়ণগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা। শামীম ওসমান বটবৃক্ষ। আমরা সেই বটবৃক্ষের ডাল-পালা।
তিনি বলেন, বিএনপির বন্ধুরা বেশি লম্ফঝম্প করবেন না। আমরা জানি কখন কী করতে হয়। আমাদের বয়স ষাট থেকে পয়ষট্টি। আপনাদের কর্মকান্ডে মনে হয় আমাদের বয়স ২৫ বা ৩০। মতিন চৌধুরী ও ডেভিডসহ সমস্ত সন্ত্রাসীদের ফেস করেছি। সেই শক্তি সামর্থ্য এখনও আছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খোকন সাহা বলেন, আনোয়ার ভাই বলেন ৭৫ এর পর তিনি জেল খেটেছেন। ৭৫ এর পরে তো অনেকেই জেল খেটেছে। কে কী পেয়েছে। নেত্রী তাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। আপনি অনেক পেয়েছেন। যারা পায়নি তাদের সুযোগ করে দেন। তিনি দলটিকে ২০ টুকরো করেছেন। আজ তিনি নৌকা মার্কা চান। তার দেখাদেখি অনেকেই পোস্টার লাগাচ্ছে।
তিনি বলেন, আনোয়ার ভাইয়ের জন্য আমরা অনেক কিছু করেছি। তাকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র করার জন্য কাজ করেছি। চন্দন শীলের সেক্রিফাইসে তিনি ২০১৬ সালে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলেন। কষ্ট লাগে যখন আনেয়ার ভাই পদের জন্য তার কমিটির ১ নম্বর সদস্যকে খুনী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি দল ভাঙার মিশন নিয়ে নেমেছেন। গত ১৭ মার্চ জাতির জনকের জন্মদিনে আমাকে বাদ দিয়ে উনি কর্মসূচি করলেন। সকাল ৯টায় ফোন করে তিনি আমাকে বললেন, তুমি আসো। আমি বলছি, তার কাছ থেকে আপনারা সাবধান থাকবেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিনকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে ২০০১ সালের পর ৭ থেকে ৮টি খুনের রাজনীতি করছেন। এগুলো আর হবে না। অনেক সহ্য করেছি। নেত্রী কিংবা শামীম ওসমান আমাদের আর ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।
খোকন সাহা বলেন, প্রতি মাসের ৮ তারিখে একটা বাচ্চা ছেলেকে হত্যাকান্ডের দায়ে এত তম মাস বলা হয়। আমরাও সন্তান হত্যার বিচার চাই। মামলার অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করার আগ পর্যন্ত কাউকে অভিযুক্ত করা যাবে না। শামীম ওসমানকে গতকাল বললাম কী কারণে আপনি এখনও সহ্য করছেন? আমিসহ ৩ সাংবাদিকের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। আমি বলেছি, আপনি অনুমতি দিলে প্রতিদিন ওদের নামে ৪টা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হবে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।